Search This Blog

Translate

Theme images by kelvinjay. Powered by Blogger.

Updated

Updated
» » অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়ার ৭টি ধাপ দেখে নিন

 

অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়ার ৭টি ধাপ দেখে নিন

২০২৫-২৬ করবর্ষ থেকে সকল করদাতার জন্য আয়কর রিটার্ন অনলাইনে দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই রিটার্ন দাখিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে অনেকেই এখনো জানেন না কিভাবে অনলাইনে রিটার্ন জমা দিতে হয়।
সম্প্রতি রিটার্ন জমা দেওয়ার সাতটি ধাপের বিষয়টি জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।




সম্প্রতি রিটার্ন জমা দেওয়ার সাতটি ধাপের বিষয়টি জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

এনবিআর জানিয়েছে, অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের জন্য প্রথমে ই-রিটার্ন সিস্টেমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশনের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত সিমকার্ডসহ মোবাইল ফোন নম্বর এবং একটি টিআইএন প্রয়োজন। প্রথমবার সফলভাবে রেজিস্ট্রেশন করার পর সাইন-ইন করে প্রফাইলের তথ্য প্রয়োজনমতো আপডেট করা যাবে।

পারিবারিক ব্যয়, সম্পদ ও দায় এবং কর পরিশোধের তথ্য ইনপুট দিয়ে সহজেই রিটার্ন দাখিল করা যাবে।

তবে তথ্য ইনপুট দেওয়ার সময় সব প্রমাণপত্র দেখে সঠিকভাবে তথ্য প্রদান করা বাঞ্ছনীয়।

রিটার্ন জমা দেওয়ার ৭টি ধাপ
১. Assessment প্রথমে আপনাকে কিছু মৌলিক তথ্য দিতে হবে।

(ক) Assessment information : Assessment year, Income year ইত্যাদি।

(খ) Heads of income- চাকরি হতে আয়, সম্পত্তি ভাড়া হতে আয়, কৃষি আয়, ব্যবসা আয়, মূলধনী লাভ, আর্থিক পরিসম্পদ হতে আয়, অন্যান্য উৎসের আয়।
এই খাতসমূহের মধ্যে প্রযোজ্যটি সিলেক্ট করতে হবে।

(গ) Additional information- আয়ের প্রধান উৎসের অবস্থান এবং অন্যান্য আয়।

(ঘ) IT-10B requirements সম্পদ সম্পর্কিত তথ্য যেমন—সম্পদের পরিমাণ, মোটর গাড়ি ইত্যাদি।

২. Income– এই পেজে খাতভিত্তিক আয়ের সব তথ্য দিন, যেমন—চাকরি হতে আয়, ভাড়া হতে আয়, কৃষি হতে আয়, ব্যবসা হতে আয়, মূলধনী হতে আয়, আর্থিক পরিসম্পদ হতে আয় এবং অন্যান্য উৎস হতে আয়।

৩. Rebate– রেয়াতযোগ্য বিনিয়োগ যেমন—জীবন বীমা, ডিপিএস, সঞ্চয়পত্র, জিপিএফ ইত্যাদির তথ্য উল্লেখ করুন।

৪. Expenditure– আপনার বাৎসরিক ব্যয়সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করুন।

৫. Asset & liabilities–সম্পদ এবং দায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। যেমন— ব্যবসার মূলধন, অ-কৃষি সম্পত্তি, কৃষি সম্পত্তি, আর্থিক সম্পদ (শেয়ার, ডিবেঞ্চার, সেভিংস সার্টিফিকেট, এফডিআর, ডিপিএস), মোটর গাড়ি, সোনা, হীরা, গৃহস্থালির জিনিসপত্র, নগদ ইত্যাদি। এ ছাড়া ঋণের তথ্যও প্রদান করুন।

৬. Tax & payment–এই সেকশনে সিস্টেম আপনাকে আপনার মোট আয়ের বিবরণ, ট্যাক্স কম্পিউটেশনের বিবরণ, প্রদেয় করের পরিমাণ দেখাবে। এই সেকশন থেকে আপনি ইতোমধ্যে উৎসে কর্তিত কর, অগ্রিম প্রদত্ত কর, পূর্ববর্তী বছরে পরিশোধিত অতিরিক্ত কর এবং রিটার্নের সাথে পরিশোধিত করের তথ্য প্রদান করে আপনার কর পরিশোধের তথ্য আপডেট করতে পারবেন। এরপর অনলাইনে রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এই সেকশন হতে আপনি আপনার জন্য প্রযোজ্য প্রদেয় কর মোবাইল ব্যাংকিং যেমন–বিকাশ, রকেট, নগদ ইত্যাদি বা ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবেন।

৭. Return view–এখানে সম্পূর্ণ রিটার্ন দেখাবে, আপনি ভুল কোনো তথ্য এন্ট্রি দিয়েছেন কি না, তা পরীক্ষা করতে পারবেন, সেভ করে রাখতে পারবেন এবং সর্বশেষে সাবমিট করতে পারবেন। অনলাইন রিটার্ন পূরণে আপনি চাইলে সব তথ্য একেবারে ইনপুট দিয়ে রিটার্ন দাখিল করতে পারেন আবার প্রয়োজনে সময়ে সময়ে তথ্য ইনপুট দিয়ে সেভ রাখতে পারবেন এবং সময় নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সাবমিট করতে পারবেন। সাবমিট করা হলে যেকোনো সময়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র, রিটার্ন, সার্টিফিকেট, চালান ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে পারবেন।

«
Next
This is the most recent post.
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply